মুষলধারে বৃষ্টি। প্রচন্ড ব্যথা। অসহ্য যন্ত্রণা। বাইরে পায়ের আওয়াজ। ভয়ও হচ্ছে। নীরব গোঙানীর শব্দ। কাত্রানোর কষ্ট। কেউ শুনতে পাবে। তলপেটের নীচে কাঁপছে। লাথি মারছে একটা শুয়োপোকা। একটা জীবন। শহুরে দালান কোটা। টিনের চালের অস্তিত্ব নেই। বৃষ্টির দিন। তাই কেউ বৃষ্টির শব্দও শুনতে পায় না। সুর্য খোলার মেলা হতো। প্যাঁ পোঁ ভ্যাঁ ভোঁ শব্দ। মারাদিন কান ঝালাপালা। শহরে এসব খামখেয়ালী সুরের দ্যেতনা নেই। হাট বাজারের গম গম শব্দ নেই। বন্ধ দরজায় এই বিকেলে কারও কড়া নাড়ার শব্দ নেই। পোকাটি কেবল সুর সুরি দিয়ে যাচ্ছে। শাড়ীর আঁচলের তলায়। খুঁজছে এতটুকু আশ্রয়। বিরামহীন কষ্ট। কষ্টরা শিরদারা বেয়ে নামছে। জানালার কার্ণিশ ভেদ করে ঢুকছে। যোনিপথে ধেয়ে আসছে গলিত লাভা। কেউ একজন জীবনটাকে খুঁজছে।
পৃথিবীর উঠোনে এত আলো। কতটুকুই বা তার প্রয়োজন। কেউ একজন কড়া নাড়ছে। সাটানো দরজায়। কষ্টেরা হামাগুড়ি দিয়ে বেড়ে উঠছে ক্রমাগত। এই বুঝি একসাথে বেজে উঠবে জীবনের সব সুর। ইট পাথরে ঘেরা বারান্দা। বর্ষার প্রথম বৃষ্টির মতোই দমকা গরম নোনা হাওয়া। বারান্দার টবে লাগানো ছোট শিউলী গাছ। তবুও দু’টো শিউলী কোন কারনে আজ ফুটেছিল। দুর্ভাগ্য বেশীক্ষণ ঠিকেনি।
জলের তপ্ত লাভা গড়িয়ে পরছে। সেই সাথে একটি জীবন। পৃথিবীর মুখ দেখবে। আকুলি বিকুলি করছে। এই তো সময়। আর বেশীক্ষণ নেই। কঠিন পরীক্ষা। সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে হবে। নয়তো আত্মাহুতি। জীবন এমনই। আত্ম সম্মান বোধ। সমাজের বিষবাষ্প। এক একটা মারাত্মক মারনাস্ত্র। রুখবে কে। এমন সাধ্য কার। কুমারী মেয়ের তলপেটে এমন ব্যাথা। তা সমাজ কখনও দেখেনি। মেনে নেওয়া তো দূরের কথা।
মাঘী পূর্ণিমার মেলা। নাগরদোলা চড়তে বেশ লেগেছে। এই তো চাওয়া পাওয়া। ভালোবাসা। এক দিন, দু’দিন, তিনদিন। অতঃপর প্রতিদান। নাগরদোলায় চড়লে পয়সা লঅগে। দু’টাকা। পাঁচ চক্কর ঘোড়াবে। সাত পাকে বিধাতার বন্ধন। সামাজিক ¯^ীকৃতি। তারও অন্যরকম আনন্দ। বেশ লাগে। চড়তে চড়তে গা গুলিয়ে বমি আসতে পারে। ভালোই তো। সুখের ¯^প্ন দোলা দিয়ে যায়। পূর্ণিমার চাঁদ হাসে। ঘুরে ফিরে আবার সকাল হয়। সকাল গড়িয়ে বিকেল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। কঠোর নিরাপত্তা। সাবধানতা। কন্যা, জায়া, জননী। তিন স্তর। পঞ্চ আয়স্তি মিলে উলুধ্বনী করে। শাঁখ বাজায়। ঢোল বাজে। বাটা ভর্তি পান তামাকের আসর বসে। গল্পগুজব হয়। নানান রকম কথা। রসিয়ে রসিয়ে বলে-বউটার ভাগ্য ভালো। বিয়ের প্রথম বছরেই বিয়োতে বসেছে। এ আর কি। প্রকৃতির নিয়মেই সব কিছু হচ্ছে।
এই শ্বেত পাথরের দালান। একটা নিকৃষ্ট শুয়োপোকা। কখন কিভাবে ঢুকে পরেছে। কেউ টের পায়নি। দিনে দিনে বেড়ে উঠেছে। পরিত্যাক্ত ছাদে। ময়লার ঝুড়িতে। খাটের নীচে জমিয়ে রাখা অপ্রয়োজনীয় জিনিষের ভিতর। কিংবা ফেলে রাখা কোন দামী জুতার খোলে। পাহাড়াদার ভালোই। একজন কুমারী মেয়ে। কেউ যখন থাকতো না পোকাটা মাথা ছাড়া দিত। বেলখনির ফাঁক গলিয়ে প্রাণ ভরে নিশ্বাস নিত। জীবনে বেঁচে থাকার আনন্দে। এই ঘরেই বেঁচে থাকার ¯^াদ। বেঁচে থাকতে হবে। যেভাবেই হোক।
নাগর দোলা চড়লে বাতাসে কাপড় উড়বে। পত পত করে উড়বে। ধরে রাখা মুশকিল। বৃষ্টিতে নামলে শরীর ভিজবে। এও চির সত্য। রাজ হাঁস কেউ হতে পারে না। রাজ হাঁস জলে ডুব দেয়। জল গায়ে লাগে না। জল কাদা মারিয়ে ঘরে ঢুকলে গা ঘিন ঘিন করে। একলা ঘর। বিছানার উপর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ব্রা, প্যান্টি, পেটিকোট। তারপর সোজা বাথরুম। শির দাড়া বেয়ে নেমে আসে পবিত্র শীতল জলের ধারা। আহ! কত শান্তি। মাথা থেকে পা পর্যন্ত কি অভূতপূর্ব আনন্দের অমিয় ধারা। বিন্দু বিন্দু মুক্তো দানার মত জড়িয়ে থাকে নরোম শরীরে। সূর্য মেলা থেকে ফিরে আসা দুষ্ট ছেলের দল বেসুরো চিৎকার করে। প্যাঁ পোঁ শব্দটা শরীরে উষ্ণতার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। দরজায় কেউ একজন কড়া নাড়ে। এই সুযোগে শুয়োপোকাটা ঢুকে পরে ফুটো কন্ডমের ভিতর। আবারও জলের ধারায় ভিজতে ইচ্ছে হয়। বার বার ভিজে। পোকাটা একটা নিরাপদ আশ্রয়ে নিষিক্ত হয়। ওখানেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে।
বৃষ্টিতে নয়। বৃষ্টির জল বাইরে। বাইরের লোকজন বৃষ্টি ভাগাভাগি করে। আজ সকালে কলে জল ছিল না। কর্পোরেশনের কলের গোড়ায় সে কি লঙ্কাকান্ড। ভাগ্যিস শেষ বিকেলে বৃষ্টিটা এলো। যে যেদিকে পারছে জল ধরছে। হাড়ি পাতিল বসিয়ে ভাগাভাগি করে নিচ্ছে। সুদৃশ্য বাথটাবে শাওয়ারের জলটা একান্ত নিজ¯^। শীতল জল। অনবরত ধেয়ে আসছে। ব্যবহারে কোন সীমাবদ্ধতা নেই। টুনির মার মত পানি নিয়ে সারাক্ষন ঝগড়া করতে হয় না। বেসুরো গলায় অসভ্যের মত গালি গালাজ করতে হয় না।
আজকাল পদ্মার ইলিশের দাম বড় বেশী। জীবন তার চেয়েও অনেক সস্তা। তিন টাকার কন্ডমে বড় বেশী নিরানন্দ। শুয়োপোকাটা পার পেয়ে গেছে এবারের মত। নিরাপদে, নির্বিঘেœ। কেউ টেনে বের করতে পারবে না। বের করতে গেলে লোক জানাজানি হবে। তাল গোল পাকিয়ে যাবে। গোলক ধাঁধার মত চড়কি ঘুরতে ঘুরতে নাগর দোলা আর থামবে না। পাঁচ পাক সাত পাক করে কেবল ঘুরতেই থাকবে। ঘুরতেই থাকবে।
প্রথম দু’তিনমাস। কেউ ঠের পায়নি। পৃথিবীর কত কিছুইতো অনিয়মের নিয়মে বন্দী। মাসের বিশেষ ক’টা দিন। এও না হয় অনিয়মে কেটে গেল। সবকিছুই তো ঠিক আছে। নিয়ম ভাঙ্গার কোন লক্ষণও নেই। শক্ত সোমত্ত কুমারী মেয়ে। মুখ বুজে সহ্য করার ক্ষমতা ভগবান দিয়েছে। এমন কোন অশনি সংকেতও কেউ দেয়নি। এ আর এমন কি। শুয়োপোকাটা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়েছে। গভীর ঘুম। এতদিনের কষ্টটা পুয়িয়ে নিয়েছে। পুষ্টিকর খাবার পাচ্ছে। গায়ে গতরে সেয়ানা হয়ে উঠছে।
যত নষ্টের মূল ঐ ফুটো কন্ডমটা। নির্লজ্জের মত গলা পর্যন্ত উঠা নামা করে। কি যে সুখ! খালি গায়ে বার বার ¯œান করতে ইচ্ছে করে। নোনা জলে ডুব দিয়েছে। অথচ ডুব সাঁতার জানে না। কখন যে পোকাটা ঘন ঘোলা জলে মিশে শরীরের ভিতর ঢুকে পরেছে টের পায়নি। এ এক জ্বালা। ভাবতেও গা ঘিন ঘিন করছে। গা গুলিয়ে বমি আসছে। সু¯^াদু ইলিশ মাছ। খেতে ইচ্ছা কওে না। কাঁচা মাছের আঁশটে গন্ধ নাকে লাগে। এ যে অশুভ লক্ষন। পোকাটা মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে। গত ক’মাসের অনিয়ম। এখন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে। তলপেটের নীচে সেই অস্থির সময়। আজ ছয়মাস ধরে ¯^াভাবিক।
নাগর দোলার সহযাত্রী যুবক। খুব ধুরন্ধর সোয়ারী। এখন নাগরদোলা চড়তে গেলে বলে পায়াগুলো নড়বড়ে হয়ে গেছে। কখন যে ভেঙ্গে পরবে তার ঠিক নেই। সান্তনা দেয়। ফাল্গুন চৈত্র মাসে মেলা বসে। এই গ্রীষ্মে প্রচন্ড খড়া। কাল বৈশাখীও হয়নি। আবহাওয়া অফিস বলেছে, আগামী দু’মাসে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। এই অফ-সীজনটা সাবধানে ঘরে বসে থাকতে হবে। সামনে বর্ষা। আবার না হয় ইচ্ছেমত ভিজব। তারপর কান পেতে শুধু বর্ষার শব্দ শুনবো। বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে জল স্পর্শ করবো। শিরা উপশিরায় জেগে উঠবে উজানী ঢেউ। কাল সময়টা পার হোক। আবার ভাসবো সেই জোয়ারে। আমাদের ভালোবাসা আর বিশ্বাস। বেঁচে থাক আরও দীর্ঘ সময়। আপাততঃ বর্ষার কাঁদাজলে সমস্ত জঞ্জাল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাক। কেউ টের পাবে না। এই ঘোর বরষা। সখ করে কেউ আমাদের জল জলাঞ্জলী দেখতে আসবে না।
শহরেও বৃষ্টি হয়। মুষলধারে বৃষ্টি। কিন্তু দূর্ভাগ্য বেশীরভাগ মানুষের। বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ খুব কম লোকে উপভোগ করতে পারে। সোয়ারীটি প্রেমে পরেছে যুবতীর সাথে। কতকাল মাতালের মত ভিজেছে দু’জন। কখনও নিজেদের পাপী মনে হয়নি। ভালোবাসা পাপ নয়। অথচ আজ পাপমুক্ত হতে চায়। উপায় নেই। প্রচন্ড ব্যাথার পরে একটু ¯^স্তি।
একটি বড় সড় শুয়ো পোকা বেরিয়ে আসবে। অজ¤্র রক্তক্ষরণ। কষ্ট। ভীষণ কষ্ট। নিন্দার কোন ভাষা নেই। সেই ধুরন্ধর সোয়ারীটার উপর প্রচন্ড ঘৃণা। তবুও কষ্ট ফুরোচ্ছে না। কষ্টের ধন সাত সমুদ্র ডিঙ্গাতে পারে। হোক না ছোট পোকা। তার তো জীবন আছে। সেই জীবনটাকে বড় বেশী আপন মনে হয়। নাড়ী ছেড়া ধন। সাত রাজার সোনা মানিক।
একজন ভিতরে ঢুকল। পুর্বপরিচিতা। জানাশোনা। ভিতরে আর একটি কাঠের বন্ধ দরজা। ভিতর ঘরে গোঙ্গানীর শব্দ। কেউ একজন দাঁতে দাঁত চেপে যন্ত্রণা ভোগ করছে। দরজা খুলে গেল। ইনি এসব দেখতে দেখতে অভ্যস্ত। অভ্যর্থনা করে ভিতরে নিয়ে গেল। বুঝতে পেরেছে ডুব সাঁতারের খেলা। নোনা জলে ভিজতে ভিজতে আজ এই অবস্থা। পোকাটা বের করে আনতে হবে। ঘোলা জলে পোকাটি যার শরীরে বাসা বেঁধেছে তাকে বাঁচাতে হবে। বিনিময়ে সম্মানী। আবেদনটা কম নয়। তাতে কি। মানীর অপমান বজ্রাঘাত তূল্য। আগেতো মান। দফা রফা হয়ে গেলো। কাজে লেগে গেলেন তিনি। অভিজ্ঞ। খুব বেশী বেগ পেতে হয়নি।
খালাস হয়ে গেলো। পোকাটি জীবন্ত। চোখ মেলে একবার দেখে নিল পৃথিবীটাকে। আহা! কি অপরুপ এ ধরনী। কার না বেঁচে থাকার সাধ জাগে। কেঁদে উঠল পোকাটি। অনেকের কান পর্যন্ত পৌঁছে গেল সে কান্নার শব্দ। ঠিক মেলা থেকে ফেরা দুষ্টু ছেলেদের প্যাঁ পোঁ শব্দের মত। জন্মের পরেও জন্ম থাকে। এই জন্মে মুখে মধু দিতে হয়। না, দেওয়া যাবে না। বারণ আছে। একটু মায়ের দুধ। অমৃত সুধা। সেই সুধা আজ বিষাক্ত বর্জ্য।
একটা দড়ি। শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হলো। পাহাড় সমান একটা দীর্ঘশ্বাস। বোঝাটা একটু হালকা হলো। তলপেটটা খালি লাগছে। পাপটা বেরিয়ে গেছে। সারা গায়ে রক্ত। শুকিয়ে যাওয়া নদীর ঘোলা পিচ্ছিল লাল জল। দীর্ঘদিন জমেছিল শরীরে। ঘাড় ঘুরিয়ে একপলক দেখল। চোখে আবার সেই কান্নার নোনা জল। হাজার হোক এতদিন এই পেটেইতো ছিল। নিরাপদে, নির্বিঘেœ। নিবিড় মমতায়। না, মমতায় বলাটা ঠিক হবে না। নষ্ট করার চেষ্টা কম হয়নি। ছয় মাস পর। জীবনের ঝুঁকিটা বোধ হয় বেশী ছিল।
একটু অমৃত সুধা। পৃথিবীর বুকে ভূল করে চলে এসেছে। বড্ড তৃষ্ণা পেয়েছে পোকাটির। এক চুমুক পান করলে কি এমন ক্ষতি হবে। না। গৃহকত্রীর গর্জন। শেষ করে দাও। সম্মানী বাড়িয়ে দেবো দ্বিগুন। আমি কোন চিহ্ন রাখতে চায় না। না মাইজি, হামি কারো জান লিতে পারবেক নি। জান দেনে ওয়ালা তো উপরওয়ালা। হামাক কি সাধ্য আছে মাইজী। হামাকে মাফ করিবেক মাইজী। হামি চলিলেক।
রান্নাঘরে মাছের থলেটা পরে আছে। এখনও ধোয়া হয়নি। কয়েক রকমের মাছ। পলিথিন গুলোতে কাঁটা মাছের রক্ত লেগে আছে। বিশ্রি আঁশটে গন্ধ। সময়ের ব্যস্ততায় ওদিকে কারও খেয়াল নেই। রান্নাঘরের ডাষ্টবিনে অনেক ময়লা জমে আছে। সারা ঘরে আজ একটি জানালাও খোলা হয়নি। গন্ধটা কেবল ঘরের মধ্যে পায়চারী করছে। এতক্ষনে খেয়াল হলো। এক্ষুনি ফেলে আসা দরকার।
একটি পাঁচ টাকার চটের ব্যাগ। পোকা নামক জীবনটিকে পুরে নিল। ব্যাস এবার যাত্রা। ময়লাওয়ালা দরজা নক্ করল। থলেটা হাতে দিয়ে বলল-ডাষ্টবিনে ফেলে দে। ভাগ্যিস ডাষ্টবিনে পরেনি। একটা পোকা। একটা জীবন। তবুও বাঁচতে চায়। না। শেষ রক্ষা হয়নি। থলেটা ডাষ্টবিনের পাশে রাস্তার উপর পরেছিল। একটা দ্রুতগামী প্রাইভেট কার। ব্যাস সব শেষ। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে থলে ছিড়ে ছিটকে বেরিয়ে এলো কিছু রক্ত। জীবন্ত শুয়ো পোকার রক্ত। অথবা কাটা মাছের পঁচা রক্ত। সে রক্ত ধুয়েও গেল বৃষ্টির জলে। অনেক লোক জড়ো হলো। দেখলো একটা জীবন্ত পোকা কিভাবে থেতলে গেলো। শুধু কেউ জানলো না পোকাটি কার?
শুধু পন্ডিত যশোরাজ ব্যানার্জী কোষ্ঠি গণনা করে বলেছিল, তুই তো কুমারী মা হবি। কিন্তু পাপ ঘরে রাখতে পারবি না। কোন এক ঘন বরষায় তা বিসর্জন দিতে হবে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্
চমৎকার লেখনী শক্তি ! সমাজের একটা চরম নিন্দিত সত্যকে সুন্দর করে তুলে ধরছেন, কামনা করি এমন পাপের পোকাকে যেন কাউকে বিসর্জন দিতে না হয় । ধরণী পবিত্র হোক ।
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
নিষ্ঠুর বাস্তবতা । এরকম পাপ এখন যেন সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বাসা বেধেছে । ভাংছে পরিবার নামক পবিত্র সুন্দর জীবন ব্যবস্থা । তবু কেউ যদি শিক্ষাটা নিয়ে থাকে , তো , তার লাভই হবে । অনেক শুভকামনা ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।